তৌহিদ হোসেন উজ্জ্বল, বাউফল
পটুয়াখালীর বাউফলে নদী ভাঙ্গনরোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার এক মাস যেতে না যেতেই তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত ভাবে এ জিও ব্যাগ ফেলায় সরকারের উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রায় এক কোটি টাকা ব্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে বাহেরচর বাজার ও চর রঘুনদ্দিন সরকারী প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত ৩০০ মিটারের মধ্যে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। এর জন্য ব্যয় ধরা হয় ৯৫ লাখ টাকা। মের্সাস লুৎফর রহমান নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বাস্তবায়ন করেন।
সরেজমিন ভাঙ্গন কবলিত ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ জিও ব্যাগ নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় ওই জায়গাটুকু ফের ভাঙ্গনের কবলে পরেছে। কিছু কিছু জিও ব্যাগ ডিলে হয়ে গেছে। এলোপাতাড়ি ভাবে ছড়িছিটিয়ে আছে। নদীর ঢেউয়ে ওই ব্যাগগুলোও হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সাইদুল নামের স্থানীয় এক সংবাদ কর্মী অভিযোগ করেন, নিয়ম অনুযায়ি জিও ব্যাগে বালু ভড়া হয়নি। প্রত্যেকটি জিও ব্যাগে ১৫০ কেজি করে বালু ভর্তি করা কথা থাকলেও করা হয়েছে সর্বো”চ ১২০ কেজি। তাও আবার কাদাবালু। যার ফলে পানির ঢেউয়ে কাদা ধুয়ে গিয়ে ব্যাগ ডিলেঠালা হয়েগেছে। এলাকার লোকজন শুরু থেকেইবাধা দিলেও ঠিকাদারের লোকজন তা কর্ণপাত করেননি। এর ফলে ওই এলাকায় কয়েকশ পরিবার, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পাকা ভেড়ি বাধ কাম সড়ক হুমকির মুখে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার লুৎফর রহমান সাংবাডিদকদের বলেন,‘ কোন অনিয়ম করা হয়নি। নিয়ম মেনেই ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ’
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আলম বলেন,‘ এটি পার্মানেন্ট কোন প্রকল্প নয়, অয়স্থায়ী প্রকল্প। কারখানা নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে বাজার, স্কুল ও জনপথ রক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
Related