প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ৯, ২০২৪, ১০:২৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২৫, ২০২২, ৭:৩৯ পি.এম
কলাপাড়ায় হতদরিদ্র ক্রেতার মাথা ফাটিয়ে দিলেন ওএমএস ডিলার
কলাপাড়ায় ওএমএস ডিলারশিপ ঘর থেকে বস্তামুলে চাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলার প্রতিবাদ করায় একজন হত দরিদ্রকে তালা দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিলেন ওএমএস ডিলার মামুন হাওলাদার। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে পৌর শহরের মাদ্রাসা সড়কের কালভার্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর স্থানীয়রা হতদরিদ্র শাহরিয়ার সোহেল (৩৮) কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে সোহেল কলাপাড়া হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় সূত্র ও আহত সোহেল জানায়, মঙ্গলবার সকাল অনুমান সাড়ে দশটার দিকে শহরের মাদ্রাসা সড়কের কালভার্ট এলাকায় খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএস ডিলার মামুন হাওলাদার তার ডিলারশিপের ঘরের তালা খোলেন। এ সময় সরকার প্রদত্ত নির্ধারিত মূল্যে চাল কিনতে লাইনে দাঁড়ায় একাধিক হতদরিদ্র মানুষ। কিন্তু ডিলার মামুন হাওলাদার লাইনে দাঁড়ানোর সংখ্যা বেশি দেখে তিনি তাৎক্ষণিক ডিলারশিপ ঘরের অর্ধেক অংশ বন্ধ করে বাকি অংশ খোলা রাখেন। এরপর ঘর থেকে তার বেতনভুক্ত কর্মচারী দিয়ে দু' তিন বস্তা চাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। এতে লাইনে দাঁড়ানো মানুষ প্রতিবাদ করায় মামুন উত্তেজিত হয়ে লাইনের সম্মুখে দাঁড়ানো হতদরিদ্র সোহেলকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারতে শুরু করে। একপর্যায়ে তার হাতে থাকা ভারী তালা দিয়ে সোহেলের মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে। এতে সোহেল মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আহত সোহেলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া হাসপাতালে প্রেরণ করে।
কলাপাড়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্র জানায়, সোহেলের মাথায় গুরুতর জখম থাকায় তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। এছাড়া তার মাথার খুলির আঘাত নির্ণয়ে তাকে এক্স-রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টা না যেতে তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না।
কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জসিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ' ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।'
কলাপাড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ নুরুল্লাহ বলেন, 'ঘটনা স্থল পরিদর্শন ও হাসপাতালে আহত হতদরিদ্র ক্রেতার সাথে কথা বলে সবকিছু জেনে বিধি মোতাবেক ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
Copyright © 2024 দ্বীপকন্ঠ নিউজ. All rights reserved.