প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ৯, ২০২৪, ১০:৩১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ১৮, ২০২২, ৬:৩৫ পি.এম
তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়ায় নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার
তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীত নিষিদ্ধ বড় ও বহুদি জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার চলছে। ভয়ংকর এই জাল দিয়ে শুধু মাছ শিকারই নয় ধংস করা হচ্ছে সকল প্রজাতির মাছের রেনু। ফলে দিন দিন প্রকতিকভাবে তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীতে মাছরে উৎপাদন কমে যাচ্ছে। শিগগরিই এ ব্যাপার ব্যবস্থা না নেয়া হলে হারিয়ে যাবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
সরজমিন পরিদর্শনকাল জানা যায়, বাউফলর তেঁতুলিয়া ও লাহালিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নিষিদ্ধ বহেন্দি ও বড় জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। একাধিক ডুবা চর এবং নদীর তীর ঘঁষে কয়ক’শ মিটার দৈর্ঘ্যর এককটি বড় জাল জায়ারের সময় পাতা হয়। ভাটার সময় পানি নেমে গেলে বড় জাল আটকা পড়ে ছাট বড় মাছের পাশাপাশি অসংখ্য মাছের রেনু। অপরদিক বহুদি জালক স্থানীয় ভাষায় বাঁধা জাল বলা হয়। এই বাঁধা জাল পানির গভীর আড়াআড়ি ভাবে পাতা হয়। বহুদি জাল আটক পড়া মাছের সঙ্গে অংসখ্য রেনু মারা যায়। তেঁতুলিয়া নদীর চরব্যারট, মমিনপুর, ধুলিয়া, নিমদি, চরওয়াডল, বোরহানউদ্দিনের সাঁচড়া ও লালমাহনের নাজিরপুর পয়েন্টে এবং লোহালিয়া নদীর ঝিলনা ও বাহেরচর পয়েন্টে অংসখ্য বেহেন্দি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। সরকারি নিয়ম ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ফাঁসের জাল দিয়ে নদীতে মাছ শিকার করার নিয়ম। অথচ বড় জাল তেরি করা হয় মশারী দিয়ে। অপরদিক বাঁধা জালর ফাঁস মশারীর ফাঁসর চেয়ে কিছুটা বড়। জেলেদের মধ্য বড় ও বাঁধা জাল রাক্ষুস জাল হিসবও পরিচিত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্ষমতাসীন দলর শেল্টার নিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এক শ্রেণীর দাদন ব্যবসায়ী জেলেদের তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীত নির্বিঘে বড় ও বেহেন্দি জাল দিয়ে মাছ শিকার করাছেন। ইতিমধ্য একাধিক দাদন ব্যবসায়ী শূণ্য থেকে কাটিপতি বনে গেছেন। কালাইয়া লঞ্চঘাট এলাকার একাধিক দাদন ব্যবসায়ী শূণ্য থেকে এখন কোটিপতি।
সম্প্রতি বাউফলের চদ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরব্যারেট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীর এপাড়-ওপাড় জুড়ে নিষিদ্ধ বাঁধা জাল (বহুদি) পেতে মাছ ধরার প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন ৩ শতাধিক জেলে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া জেলেরা জানান, ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাঁচড়া ইউনিয়নের শতাধিক জেলে তেঁতুলিয়া নদীর এপাড় ওপাড় জুড়ে প্রতিদিন নিষিদ্ধ বাঁধা জাল পেতে মাছ শিকার করছে। ফলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রজাতির মাছের অসংখ্য রেনু ধংস হচ্ছে। অবিলম্ব ওই রাক্ষুসে জালের ব্যবহার বন্ধ করার দাবী জানান জেলরা।
ইলিশ প্রজননের জন্য ২২ দিন নিষধাজ্ঞার পর বর্তমান নদ-নদীত ‘চাপিলা’ হিসব পরিচিত ইলিশর পোনায় সয়লাব হয়ে গেছে। প্রতিবছরই ইলিশর পোনা শিকার করার জন্য নিষিদ্ধ বাঁধা জাল ব্যবহার করে একটি অসাধু চক্র। এবারও তেঁতুলিয়া নদীত বাঁধা জাল পেতে মাছ শিকারের মহাৎসব মেতেছে চক্রটি।
এ প্রসঙ্গ বাউফল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, বাঁধা ও বড় জালর কারনে নদীত প্রকতিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশবদ্ধি ব্যহত হচ্ছে। সেক্ষত্র মৎস্য বিভাগ কম্বিং অপারশন পরিচালনা কর অবৈধ জাল উদ্ধারের পরে তা ধংস করছে।
তিনি বলন, নদীত অবৈধ জালের ব্যবহার বন্ধর জন্য র্যাব ও কাষ্টগার্ডর অভিযান বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে অভিযান পরিচালনার জন্য সরকারকে আধুনিক নৌযান ও চাহিদা মোতাবক আর্থিক বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।
Copyright © 2024 দ্বীপকন্ঠ নিউজ. All rights reserved.