প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ১০:০২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২৫, ২০২২, ৬:০৩ পি.এম
বাউফলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এসে হামলার শিকার তরুনীর
তৌহিদ হোসেন উজ্জ্বল ,বাউফল
পটুয়াখালী বাউফলে বিয়ের দাবিতে গত তিন দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন সুরাইয়া আক্তার সুরভি (২২) নামের এক তরুনী। গত বুধবার (২৩ নবেম্বর) ঢাকা থেকে তিনি প্রেমিক নোমান মৃধার(২৮)পটুয়াখালীর বাউফলের ধানদি গ্রামের বাড়িতে এসে অবস্থান করছেন। প্রেমিকা বাড়িতে আসার দিন থেকেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন তার প্রেমিক নোমান মৃধা।
সুরভির অভিযোগ করেন, গত এক বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে নোমার মৃধার সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকেই তারা একে অপরকে ভালবাসতে শুরু করেন। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকরী করতেন। নোমান তার সাথে দেখা করতে প্রায়ই ঢাকা আসতো। একত্রে থাকতেন। এ ভাবে ৭-৮ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি নোমানকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন । এরপর নোমন তাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। তাই নিরুপায় হয়ে তিনি একদিন পুরো ঘটনাটি নোমানের মাকে জানান। নোমানের মা বিয়ের জন্য তাকে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে বলেন। এ ভাবে অপেক্ষা করতে গিয়ে বছর চলে যায়। এপর তিনি বুধবার ঢাকা থেকে প্রেমিক নোমানের গ্রামের বাড়ি বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদি চলে আসেন। তার চলে আসার পর থেকেই নোমান বাড়ি ছেড়ে গাঢাকা দিয়েছেন।
অপর দিকে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য বেশ কয়েক দফা মারধর করেছে প্রেমিক নোমানের মা নুরজাহান বেগম ও বোন সীমা বেগম। শুক্রবার সকালেও তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে সুরভি জানান।
এ ব্যাপারে নোমানের মা নুরজাহান বেগম বলেন,‘ আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ের (সুরভির) সম্পর্ক আছে। এ কথা সত্য। কিš‘ আমরা কেউই তাকে মারধর করিনি। শহর থেকে আমার মেয়ে বাড়ি এসেছিল আমাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে যাবেন বলেন। তখন আমরা তাকেও (সুরভিকে) সাথে নিতে চেয়েছি। কিন্তু‘ তিনি যেতে চাননি। তাই টানাটানি করতে গিয়ে হাতে মুখে একটু আঁচর লেগেছে।
নোমানের বাবার নাম জামাল মৃধা। নোমান বাউফল পৌর শহরে তার এক ভগ্নিপতির দোকানে চাকরী করেন বলে জানা গেছে।
প্রেমিকা সুরাইয়া আক্তার সুরভির বাড়িও বাউফলের সুর্যমনি ইউনিয়নের নুরাইনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সুলতান শরিফ। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা একটি গার্মেন্টেসে চাকরী করেন।
সুরাইয়া আক্তার সুরভি বলেন,‘ আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। কোথাও আর যাওয়ার জায়গা নেই। আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবো।’
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন,‘বিষয়টি আমার জানানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’###
Copyright © 2024 দ্বীপকন্ঠ নিউজ. All rights reserved.