কুয়াকাটায় পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকবাহী বাসসহ প্রাইভেট গাড়ির বহর ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল দশটার পরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় সাগরে গোসলে মত্ত হন আগতরা। কনকনে শীত উপেক্ষা করে সাগরে গোসলে নেমেছেন তাঁরা। দুপুরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে দুই দিকে পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। কুয়াকাটার সৌন্দর্য মন্ডিত স্পট গুলোতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে আগতদের। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি আসা পর্যটকরা কুয়াকাটা সৈকতের ফিসফ্রাই মার্কেটে মাছ ও কাঁকড়া ফ্রাই খেতে অবস্থান করেন।
পর্যটকরা ঘুরছেন লাল কাঁকড়ার চর খ্যাত গঙ্গামতি সৈকতে। সাগর ও নদীর মোহনায় লেম্বুর চরে যাচ্ছেন। তবে অধিকাংশ পর্যটকের অভিযোগ সকল স্পটে যেতে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার। একই অভিযোগ থাকার ও খাওয়ার হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে। আবাসিক হোটেলের সিঙ্গেল এবং ডাবল সিটের ভাড়া পাঁচশ থেকে দেড়-দুই হাজার টাকা বেশি নেয়ার অভিযোগ। খাবার হোটেলে ফ্রি-স্টাইলে দাম হাকানো হচ্ছে। যেন গলাকাটা বাণিজ্য করা হচ্ছে পর্যটকদের জিম্মি করে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সাফিন আহমদ জানান, পরিচ্ছন্ন সৈকত হিসেবে কুয়াকাটার আলাদা সুখ্যাতি রয়েছে। একই স্পটে দাঁড়িয়ে সূর্যের উদয়-অস্ত অবলোকন করা যায়। কিন্তু খাবারের দাম বেশি। এক পেয়ালা পেয়ারার আচারের দাম রাখা হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। বাকি সকল খাবারের দামও অতিরিক্ত বেশি।
তবে টুরিষ্ট পুলিশ বক্স থেকে জানানো হয়েছে অতিরিক্ত দাম নিলে ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে প্রতিদিন।
হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, রবিবার-সোমবার পর্যন্ত ভিড় থাকবে। সকল পর্যটকের নিরাপত্বার ব্যবস্থা করা হয়েছে।