ভোলার বহুল আলোচিত বহুরুপী বিতর্কিত নারী ও কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মিলি সিকদারকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে জনৈক মৎস্য শিকারি সোহাগ শওদাগরের কাছে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবী ও নগদ ষাটহাজার ৫০৬ টাকা ছিনতাই’য়ের অভিযোগে দায়েরকৃত চাঁদাবাজীর মামলায় এ নারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিগত ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর ভিক্টিম সোহাগ শওদাগর বাদী হয়ে ভোলার বোরহানউদ্দিন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-১ এর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। (যার নাম্বার-সি.আর-৪৫/২০২৩) মামলার তথ্য বিবরনীতে উল্লেখ করা হয়েছে য়ে,উক্ত মিলি সিকদার নামীয় এই নারী একজন সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ,উছৃঙ্খল,চরিত্রহীন ও স্বামী পরিত্যাক্ত মহিলা। ভূয়া অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে তিনি প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজী করে বেড়ান। এমহিলা এমন কোনো কু-কর্ম নেই যা সে না করতে পারেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাদী একজন সামান্য বরিয়াল। বংশানুক্রমে বর্শি দিয়ে মাছ শিকারের মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। ঘটনার দুইমাস আগ থেকে আসামী মিলি সিকদার বলেন,মাছ ধরতে হলে তাকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। বাদী মিলি’র ধার্যকৃত চাঁদা দিতে অস্বিকৃতি জানায়। এরপর উক্ত মিলি সিকদার বিগত ২০২২ইং সালের ২১ অক্টোবর শুক্রবার বেলা অনুমান ১২ ঘটিকায় দেউলা নামক গ্রামের মাঝিবাড়ীর দরজায় বোরহানউদ্দিন খালে অবস্থানরত বাদী সোহাগ মিয়ার বরিয়াল নৌকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধারালো চাকু উঁচিয়ে হামলা চালায়।এসময় তার সাথে অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জন দূর্বৃত্ত ছিলো। আসামীরা নৌকার ভিতর প্রবেশ করে বাদীর গচ্ছিত অর্ধলক্ষাধিক টাকা লুটকরে নিয়ে যায় এবং আরো টাকা চাঁদা দেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যান। এদিকে এঘটনায় বোরহানউদ্দিন বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলা দায়ের’র পর বিচারক তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বোরহানউদ্দিন থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা রয়েছে মর্মে পুলিশ কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করলে মামলাটি আমলে নিয়ে কোর্ট আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। ওই মামলায় রোববার (৩০ এপ্রিল/২০২৩) প্রধান আাসামী কোর্টে হাজির হয়ে জামিন’র আবেদন করেন। কিন্ত বোরহানউদ্দিন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক “সুলতান আহমেদ মিলন” ওই জামিনাবেদন নামঞ্জুর করে আসামী মিলি সিকদারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সূত্রমতে,কথিত এই নারী সাংবাদিক’ পরিচয়ী মিলি সিকদার’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী,গণমাধ্যমকর্মীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম,ছিনতাই ও মাদক কারবারসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা এবং প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ রয়েছে। ওদিকে ভয়ঙ্কর নারী মিলিকে কারগারে পাঠানোর খবর শুনে ভোলার বিভিন্ন জনপদে ভূক্তভোগীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মিলি ও তার বাহিনী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থরা এসব অপরাধীর দৃষ্টান্তমালক শাস্তির দাবী জানিয়েছন। অপরদিকে আলোচিত এ নারী’রর বিরুদ্ধে তার ভয়ঙ্করতম নানা অপরাধের অসংখ্য অভিযোগ জমা রয়েছে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। এ বিষয়ে ভোলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান,মিলি সিকদার’র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর তদন্তকরে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নিতে পুলিশ স্বচেষ্ট রয়েছে।