পটুয়াখালীর বাউফলে একটি বিরোধপূর্ণ জমির শালিস মীমাংসা না করায় লাল মিয়া মাঝি (৬৫) ও তার এলএলবি পড়ুয়া ছেলে জাহিদ হাসানকে (৩৫)কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় ২জনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বগা ইউনিয়নের বামনিকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত লাল মিয়া মাঝি বগা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই গ্রামের সাত্তার মাষ্টার ও আলাউদ্দিন গাজী গংয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের মীমাংসা করার জন্য দুই পক্ষ আওয়ামীলীগ নেতা লাল মিয়া মাঝিকে দায়িত্বপ্রদান করেন। প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আলাউদ্দিন গাজী গং ক্ষুব্দ হয়ে মঙ্গলবার লাল মিয়া মাঝিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। এ সময় বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে লাল মিয়ার ছেলে জাহিদ হাসান গুরুত্বর জখম হন। আওয়ামীলীগ নেতা লাল মিয়া মাঝির ছেলে অ্যাডভোকেট জালাল আহমেদ বলেন, দুপুরে আমার বাবা বাড়ির পাশে নিজেদের খামারে কাজ করছিলেন। অতর্কীতভাবে আমার বাবা ও ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে আলাউদ্দিন গাজী গং।
অবশ্য আলাউদ্দিন গাজী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শালিসে পক্ষপাতিত্ব করে কালক্ষেপণ করছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা লাল মিয়া। এ কারনে তার সঙ্গে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে। হামলা বা কুপিয়ে জখমের ঘটনা সত্য নয়। বাউফল থানার ওসি আরিচুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Related