পটুয়াখালীর বাউফলে গত এক মাসে ৩ টি বাড়িতে ডাকাতি ও চুরি হয়েছে অসংখ্য। চলতি বছর জুলাই মাসে বাউফলে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে।
১৬ জুলাই বাউফল থানার কাছে হাজিপাড়া সড়কে শাহাবুদ্দিন মৃধার বাড়িতে গ্রীল কেটে ডাকাতি সংর্ঘটিত হয়েছে। ৭-৮ জনের মুখোশ পরা ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে ৬ ভড়ি স্বর্ন অলংকার ও নগদ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যায় ।
১৮ ই জুলাই কালিশুরি বাজারে সাহারা মার্কেটের সামনের বিল্ডিংয়ে ৩ টি ফ্ল্যাটে লোকজন না থাকায় তালা ভেঙ্গে ডাকাতি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার নিয়ে যায় ডাকাতরা।
২০ শে জুলাই কাছিপাড়া আবদুর রশিদ ডিগ্রি কলেজের সাথে ৩ তলা ভবনের ২ টি ফ্ল্যাটে ডাকাতি সংর্ঘটিত হয়। ডাকাতরা ফ্লাটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় ।
এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিতে না পারায় শংকায় রয়েছেন বাউফলের সাধারণ জনগণ।
১৬ জুলাই শাহাবুদ্দিন মৃধার বাড়িতে ডাকাতি হয় সেই ডাকাতদের কিংবা মালামাল উদ্ধার আজ পর্যন্ত হয়নি। জুলাই মাসে ৩ টি ডাকাতি হলেও বাউফল থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত ডাকাত দলের একজন সদস্যকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। ডাকাতি হওয়া স্বর্ন অলংকার ও টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এ ছাড়াও প্রতিদিন চুরি হচ্ছে কোননা কোন বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে । চুরি হচ্ছে গবাদি পশু।
গত১৪ ই জুলাই চর কালাইয়া গ্রামের মোঃ জসিম উদ্দিন এর ৩ টি, মোঃআখতার প্যাদার ১ টি, কালাইয়া ইউপির ৮ নং ওয়াড সৌলা গ্রামে মোঃআফজাল খানের ১ টি, ৯ নং ওয়ার্ডের মোঃরমিজ হাওলাদারের ২টি ,মোঃমিলটন গাজীর ২ টি মোঃহারুন গাজীর ২টি ও মোঃ সুমন মুন্সির ২ টিগরু গোয়ালঘর থেকে চুরি হয়েছে ।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আরিচুল হক বলেন, আমরা এসব অপরাধের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।