এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়া
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একটি মাদ্রাসায় শূন্য পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর ছালেহিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় এ অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এ অনিয়মের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ওই মাদ্রাসার দাতা সদস্য মো. গোলাম মাওলা কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত বিবাদীদের ৭ দিনের মধ্যে হাজির হতে শোকজ দিয়েছেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর ছালেহিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসাটি ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এটি এম.পিও ভ‚ক্ত হয়ে ১ম শ্রেণী হতে আলিম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাদান করে আসছে। এ মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও নৈশ প্রহরির শূণ্য পদে লোকজনবল নিয়োগের প্রয়োজন হয়। নিয়মানুযায়ী, কোন শূন্য পদে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে মাদ্রাসা কমিটির সদস্যদের নিয়ে সভা ও রেজুলেশন করে একটি দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সমপন্ন করতে হয়। কিন্তু ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মামলার ১ নং বিবাদী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও অন্যান্য বিবাদীগন একত্রিত হয়ে নিয়ম-কানুনের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে নিয়োগ দিয়েছে। তারা ব্যক্তিগত সুবিধা ও মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য এ হেন কাজ করেছে। মামলার বাদী এ অনিয়মের প্রতিবাদ করলে বিবাদীগন তাতে কর্নপাত না করে তাদের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রাখেন। বাদী গোলাম মাওলা এবিষয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতেও কোন সুরাহা না পেয়ে আদালাতের দ্বারস্থ হন তিনি।
এবিষয়ে মামলা বাদী মো. গোলাম মাওলা বলেন, মাদ্রারাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সহযোগীরা একত্রিত হয়ে নিয়ম বহিভর্‚তভাবে নিয়োগ প্রদান করেন। এ নিয়োগ বাতিলের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য আদালতে মামলা করেছি। আদালত তাদের শোকজ দিয়েছে।
দৌলতপুর ছালেহিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা দৈনিক শাহনামা ও সময়ের আলো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়মানুযায়ী নিয়োগ দিয়েছি। তারপরও অনিয়মের অভিযোগ এনে একটি পক্ষ আদালতে মামলা করেছে। এখন আদালতের মাধ্যমেই সব প্রমান হবে।