তৌহিদ হোসেন উজ্জ্বল ,বাউফল
পটুয়াখালীর বাউফলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে বসতভিটা ভেঙ্গে জমি দখলে সহায়তা করেছে পুলিশ এমন অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। ৯৯৯ কল দিয়ে সাহায্য চাইলে উল্টো প্রতিপক্ষকে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে এক উপ পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জানাগেছে, উপজেলার নাজিরপুর ইউপির আবদুর রশিদ প্যাদার সাথে মালেক মৃধা গংদের সাথে দীঘদিন থেকে জমিজমা বিষয়ে বিরোধ চলছিলো। প্রতিপক্ষ মালেক মৃধা গংরা আদালতে মুচলেকা দিয়ে সকল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পায়। অব্যাহতি কিছুদিন পর ঘটনার দিন মঙ্গলবার অনুমান সকাল ১১টার দিকে প্রতিপক্ষ মালেক মৃধা গংরা ২০-২৫জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বসত ঘর ভাংচুর করতে শুরু করে। ওই সময় রশিদ মৃধার বৃদ্ধা মা ময়ফুলজান বিবি (৭৫) বাঁধা দিলে তার গলায় ধারালো চাকু ধরে জবাহ করবে বলে ঘর থেকে বেড় করে দেয়। ঘটনার সাথে সাথেই রশিদ মৃধার স্ত্রী ৯৯৯ ফোন করে সহায়তা চাইলে পুলিশ প্রায় ২ঘন্টা পর একটি কাগজ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে উপস্থিত হয়। ততক্ষণে ঘরের সকল মালামাল টিনের চালা বেড়া হাড়ি পাতিল সহ সকল তৈজসপত্র ভেঙ্গে মালেকমৃধার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আশপাশের পুকুরে ফেলে দেয়।
রান্না করার জন্য মাটির চুলাটাও গুড়িয়ে দেওয়া তারা। ওই সময় বাউফল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম উভয় পক্ষকে শান্ত হতে বলেন এবং আদালতের সমনকৃত নোটিশটি উভয় পক্ষকে পরে শুনান এবং বলেন এই জমির উপরে নিষেধাজ্ঞা আছে কেউ জমির ভিতরে প্রবেশ করবেন না। পুলিশের উপস্থিতিতে মালেক গংরা তখন ভিটির উপর একটি খুটি কুপে সাইনবোর্ড ও বেশ কিছু গাছ বপন করতেছিলো। পুলিশ তাদের কোন বাঁধা দেয়নি। ভুক্তভোগীরা জানান, পুলিশের কাছে সহায়তা চাওয়ায় উল্টো পুলিশ প্রতিপক্ষককে সহায়তা দিয়ে আমাদের শালিসে বসতে বলে। আমরা পুলিশকে টাকা দিতে পারিনি বলে পুলিশ তাদের পক্ষে কথা বলেছে। থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে যেতে বলেছে। এই ঘটনায় প্রতিপক্ষ মালেক মৃধা জানান, আমাদের বসত ভিটায় তারা বাড়ি করেছে তাই ভেঙ্গে ফেলেছি। তিন বছর আগে ঘর তৈরীর সময় বাঁধা দেননি কেন জানতে চাইলে বলেন, স্থানীয় ভাবে তখন শালিশ চলছিলো। নোটিশকারী ও বাউফল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম জানান, আমি ঘটনাস্থালে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত হতে বলি এবং থানায় আসতে বলি। কাহারো পক্ষে গিয়ে বিশেষ কাউকে সাহায্য করিনি।
বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক জানান, বিষয়টি আমার নখদর্পণে নাই তবে ভিকটিম অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Related