প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১১, ২০২৪, ৪:৫৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৩০, ২০২৩, ৭:৫০ পি.এম
কলাপাড়ায় দুই’শ পরিবার পানি বন্দির শঙ্কায়, বিকল্প ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবী।
কলাপাড়ায় পায়রা বন্দরের ভূমি অধিগ্রহনের আওতাধীন সকল খাল-বিল ও স্লুইজ গেট ভরাটের কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ঢালী বাড়ি সংলগ্ন একটি স্লুইজ গেট ভরাট করা হচ্ছে। এর ফলে পানি বন্দি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে দুই’শ পরিবারের। তবে এসব পরিবারের দাবি বিকল্প হিসেবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখার।
স্থানীয়রা জানায়, পায়রা বন্দরের উন্নয়নের কাজের জন্য টিয়াখালী ইউনিয়নের কয়েক’শ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সেসকল জমি ভরাট করে উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছে। ফলে ঢালী বাড়ি সংলগ্ন ওই স্লুইজ গেটটিও ভরাট করা হবে। স্লুইজ গেটটি ভরাট হলে সেখানকার পানি অপসারনের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে স্লুইজ গেটের পাশে বসবাসকারী প্রায় দুইশ পরিবার পানি বন্দি হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ পানি অপসারনের জন্য বিকল্প হিসেবে একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দিবে এমনটাই দাবী এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা চাঁন মিয়া খাঁন, সাহেব আলী হাওলাদার, মো.সরোয়ার হাওলাদার সহ একাধিক লোক বলেন, পায়রা বন্দরের উন্নয়নের জন্য জায়গা-জমি ছেড়ে দিয়েছি। এখন এই স্লুইজ গেটটি ভরাট করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করলে আমরা পানি বন্দি হয়ে পরবো। তাই বন্দর কর্তৃপক্ষ সদয় হয়ে একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখবে বলে আশা করছেন তারা।
এবিষয়ে টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা বলেন, ভাটা জোয়ারের পানিসহ বর্ষার অতিরিক্ত পানি অপসারনের জন্য ওই কালভার্টটি খুবই জরুরী। পায়রা বন্দরের উন্নয়নের জন্য সেটা ভরাট করা হবে। অথচ পানি অপসারনে বিকল্প হিসেবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রাখলে ওখানে বসবাসকারী দুই’শ পরিবার পানি বন্দি হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই, বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ওখানে একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
Copyright © 2024 দ্বীপকন্ঠ নিউজ. All rights reserved.