পটুয়াখালীর বাউফলে নৌ পুলিশের টলারের মাজির বিরুদ্ধে দাবিকৃত ঘুসের টাকা না দেয়ায় রিপন নামের এক মাছ ব্যাসায়ীকে হামলা ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চন্দদ্বীপ ইউনিয়নের মোঃসাহিন নলী (৩০) নৌপুলিশের টলারের মাজির কাজ করেন তাই মাছ ব্যাবসায়ী রিপনকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা নৌ পুলিশের অজান্তে দিতে হবে না হয় নৌ পুলিশ দিয়ে হয়রানি করবেন। রিপন দিতে রাজি না হওয়ায় অনেক ক্ষোভ থেকে যায় সাহিনের।এবং সাহিন তার লোকজন দিয়ে তেতুলিয়া নদীতে অবৈধ বাধা জাল টোনা জাল, চায়না চাই জাল তেতুলিয়া ফেলে মাছ শিকার করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত। গত ১০ মে সাহিন নলীর নিষিদ্ধ চায়না চাই জাল তেতুলিয়া নদীর খানকা মসজিদ এলাকা থেকে কোস্টগাডের একটি টিম প্রায় ৩০ টি চায়না চাই জাল নিয়ে পুরিয়ে ফেলায় রিপন খানকে দোষরুপ করেন।এবং ১১ মে রিপন খান বার্তির খাল এলাকায় জেলেদের সপ্তাহিক হিসাব ও টাকা দিতে গেলে রিপন খানকে জিজ্ঞেস করে সাহিন নলী কেন আমার চাই জাল কোস্ট গার্ড দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছো বলেই সাথে সাথে সাহিন নলীর সাথে থাকা ৭/৮ জন মিলে রিপনে উপর অতার্কিত হামলা ও মারধর করে।এবং রিপনের সাথে থাকা ৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১১ মে সন্ধায় রিপন খান বাদি হয়ে বাউফল থানায় একটি অভিযোগ করেন। ইলিশের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় নৌ পুলিশের টহল কাজে সাহিন নলীকে মাজি হিসেবে ও টলার ভারা হিসাবে ব্যাবহার করতে হয় কালাইয়া নৌ পুলিশকে। তাই এতোটা বেপরোয়া হয়ে উঠছেন সাহিন নলী।
এ বিষয় মোঃসাহিন নলী ফোনে সত্যতা স্বীকার করে বলেন রিপন খানের সাথে কথা কাটাকাটি ও তর্কবির্তক হয়েছে। কালাইয়া নৌ পুলিশ ইনর্চাজ মোঃ লুথফার রহমান বলেন সাহিন মাঝির বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন আনুগব্যাবস্থা নেয়া হবে।