এস এম আলমগীর হোসেন ,কলাপাড়া
মোঃ রাকিবুল খাঁন একজন প্রবাসী। তার কষ্টে উপার্জিত সমস্ত অর্থ প্রিয়তমা স্ত্রী লিমা পারভীনের কাছে পাঠাতো। সেই অর্থ আত্মসাত করে স্বামীকে তালাক দেয়ার হুমকী দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের ছত্তার খাঁনের ছেলে মোঃ রাকিবুল খাঁনের সাথে এ ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগীর ভাই মোঃ জালাল খাঁন বাদী হয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া গ্রামের মহিন তালুকদারের মেয়ে লিমা পারভীন ও রাকিবুল খাঁন গত আড়াই বছর আগে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের পর থেকে দুজনে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে থাকে। অর্থ উপার্জনের তাগিদে স্বামী রাকিবুল প্রবাসে পারি জমান। প্রবাসে উপার্জিত সকল অর্থ স্ত্রী লিমা পারভীনের কাছে পাঠান। কিন্তু স্ত্রী লিমা পারভীনের স্বভাব চরিত্র ভালো ছিলো না। তাদের বিাবহের পূর্বেও লিমা আরো দু’টি সংসার ভেঙ্গে আসে। মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবাহ করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়া ও নি:স্ব করাই তার অভ্যাস। সেই ফাঁদে ফেলে ভূক্তভোগী রাকিবুলের পাঠানো সমস্ত টাকা আত্মসাত করে তাকেও তালাক দেয়ার হুমকী দিচ্ছে লিমা। গত ৯ মার্চ লিমার বাবার বাড়ি থেকে স্বামী রাকিবুলের বাড়ি ফিরিয়ে আনতে তার ভাই মামলার বাদী জালাল খাঁনকে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে লিমা ও তার বাবার বাড়ীর লোকজন খারাপ আচরন করে। লিমা তার ভাই রাকিবুলের সাথে সংসার করবে না এবং তাকে তালাক দিবে বলে হুমকী দেয়। ভাইয়ের পাঠানো টাকা-পয়সা ও মালামালের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানান তারা। এবিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে মিথ্যে মামলাসহ হয়রানীর হুমকী প্রদান করে।
এবিষয়ে প্রবাসী মোঃ রাকিবুল খাঁন মুঠোফোনে বলেন, আড়াই বছর আগে লিমা পারভীনের সাথে মোবাইলের সম্পর্ক হয়ে বিয়ে হয়। কিছুদিন পর প্রবাসে চলে যাই। প্রবাসে উপার্জিত সকল অর্থ লিমা পারভীনের কাছে পাঠাই। পরবর্তীতে জানতে পারি তা স্বভাব চরিত্র ভালো না। তার বিাবহের পূর্বেও লিমা আরো একাধিক সংসার ভেঙ্গে আসে। মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবাহ করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়া ও নি:স্ব করা তার পেশা। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, প্রথম স্বামী ছিল আলমগীর তার সাথে ছিলো দুই বছর, পরকীয়ার কারনে তার সাথে ডিভোর্স হয় ১৯ সালে, তারপর বিয়ে হয় লালুয়া ইউনিয়নের রাজিব এর সাথে, সেখান থেকে কাবিন এর টাকা নিয়ে আট মাস পরে রাজিব কে ডিভোর্স দেয়। এরপর মেহেদী হাসান রুমান নামের এক লোকের সাথে প্রেম হয়, লোকটি বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ২০২১ সালে আমার সাথে সম্পর্ক হয়, লিমা আনমেরিড বলে বিয়ে করে।
তিনি আরো বলেন, আমার গার্ডিয়ান ছাড়া জালিয়াতি করে ১২ লাখ টাকা কাবিন নেয় আমার কাজ থেকে, আমি জখন সৌদিতে আসি লিমা পারভীন সিরাজগঞ্জের একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক করে, ঐ ছেলের সাথে ভিডিও কলে উলঙ্গ হয়ে প্রতি নিয়তো কথা বলতো। আর মাস শেষে ষে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিতো আট মাস পরে সিরাজগঞ্জের ছেলে ফাহিমকে ব্লক করে ধুলেশ্বরের অনেক ছেলেদের সাথে সম্পর্ক করে, এবং ছেলেদের সাথে ফিজিক্যাল সম্পর্কের জন্য কলাপাড়া রুবান হোটেলে গিয়ে রাত কাটায়, এই কারনে ওর প্রাইভেট স্কুল থেকে চাকরি চলে যায়। লিমা আমার কাছ থেকে আড়াই বছরে ১৪ লাখ টাকা, মোবাইল সেট দুইটি, হাতের আংটি, গলার লকেট ওয়ালা চ্যেইন, গরু একটি, কানের দুল, করিয়ান কম্বল চারটি চুলআসরানো মেসিন সহ আরো অনেক মালামাল আত্মসাৎ করে। এখন আমাকে হুমকি দেয় ডিভোর্স দিবে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত লিমা পারভীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামীর মতে আমি খুব খারাপ। তাই তার সাথে সংসার করা সম্ভব নয়। তার টাকা পয়সা ও মালামাল আত্মসাৎ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিয়ের কাবিন'র টাকা যাতে দেওয়া না লাগে, তাই রাকিবুল এসব বলে বেড়াচ্ছে। এবং আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।