পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত করে ওই অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি শাহ্ আলম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবরে অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, স্বাক্ষর জালিয়াতি, অদক্ষতা, নিয়োগ বাণিজ্য ও কর্তব্যে অবহেলাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ দাখিল করেন। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই তদন্ত কমিটি কলেজের অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের আলোকে গত ২৪ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (কলেজ-৩) তপন কুমার দাস ধুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গভর্নিং বডির অনুমোদন ছাড়া বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের নামে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বাজেট শাখা থেকে অনুদান পাওয়া ১ লাখ টাকা বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে অধ্যক্ষ নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা করে আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত। ইসলামি ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারি শিক্ষক মো. নুরুজ্জামানের নিয়োগ ও যোগদানের ক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয় প্রমাণিত। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হকের স্বাক্ষর জাল করে গভর্নিং বডির নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করার বিষয়টি প্রমাণিত। ২০১৮-২০১৯ইং অর্থ বছরে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত বেতনের ৮ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪৪০ টাকা আত্মসাতের বিষয় প্রমাণিত। শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ ও ভর্তির টাকা বিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে জমা না করে প্রভাষক মো. ইসমাইল হোসেন তালুকদার ও অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলাম আত্মসাত করেছেন যা প্রমানিত।
এ প্রসঙ্গে গভর্নিং বডির সভাপতি শাহ্ আলম বলেন, অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত অধ্যক্ষর হাত থেকে বিদ্যালয়কে বাচানো জরুরী। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই।