এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়াঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম্য বাড়ছেই। রোগী ভাগিয়ে নেয়া থেকে শুরু করে সর্বত্রই দালাল। দালালদের কারণে অতিষ্ঠ রোগীরা। রোগী হাসপাতালে প্রবেশ করলেই দালালরা ঘিরে ধরে। তাদের পাল্লায় পড়ে রোগীদের সরকারি সুবিধা নিতেও গুনতে হচ্ছে টাকা। কলাপাড়া হাসপাতালে দালালদের দাপটে অসহায় পড়ছে রোগীরা। এবার দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের মালিকদের সতর্ক করে দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শংকর প্রাসদি অধিকারী।
সোমবার (১৫ জুলাই) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শংকর প্রাসদি অধিকারী এর স্বাক্ষরকৃত এক বার্তায় লিখিতভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সতর্কবার্তায় উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে ডাঃ শংকর প্রাসদি অধিকারী বলেন, আমি এই হাসপাতালে যোগদানের পর থেক লক্ষ করছি, অফিস চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের লোক (রোগী ধরা দালাল) হাসপাতলের বহিঃ বিভাগে ও আন্তঃ বিভাগে দেখা যায়। এতে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দিল রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে যায় নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ও ক্লিনিকে। এমনকি আন্তঃ বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীরর ব্লাড কলেকশন করে নিয়ে যায়। সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয় এবং রোগীরাও আর্থিকভবে ক্ষতি সাধিত হয়।
তিনি আরও বলেন, এইসব কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের মালিকদের লিখিত ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এই আদেশ সামান্য করলে প্রতিষ্ঠনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কলাপাড়া হাসপাতাল। এ হাসপাতালে কুয়াকাটা, মহিপুর, আলীপুর এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলার রাঙ্গাবালী ও তালতলী সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগঞ্জ থেকে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। অথচ চিকিৎসা নিতে এসে পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগী ও তার স্বজনদের। রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসার পরেই পড়ে যান দালালের খপ্পরে। রোগীর জন্য ওৎ পেতে থাকে রোগী ধরা দালালরা। কলাপাড়া হাসপাতাল যেন থাকে দালালের দখলে।