1. admin@dipkanthonews24.com : admin :
সুপ্রীম কোর্টের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ চান ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থীরা - দ্বীপকন্ঠ নিউজ
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
লালমোহনে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের মতবিনিময় লালমোহনে ব্যবসায়ীর বসতঘর থেকে স্মার্টফোন, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি বোরহানউদ্দিনে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী(সঃ) উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ বাউফলে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিত শিক্ষার্থীদর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কলাপাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আনছার মোল্লাকে কারাগারে প্রেরণ লালমোহনে ভোগদখলীয় জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ ভঙ্গের চেষ্টা করায় কলাপাড়া “ইউএনও” কে নোটিশ দুমকিতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা, প্রেসক্লাবের নিন্দা বোরহানউদ্দিন মেঘনা নদীতে জাল পাতাকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত – ১২

সুপ্রীম কোর্টের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ চান ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থীরা

দ্বীপকন্ঠ নিউজ ডেস্ক:
  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৭ বার পঠিত
Spread the love

দ্বীপকন্ঠ নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টকে বলা হয় সংবিধানের রক্ষক এবং ব্যাখ্যাকারী। সুপ্রীম কোর্টের দুইটি বিভাগ রয়েছে আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভগ। এ দুটি বিভাগেই বহাল তবিয়তে রয়েছে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট কতিপয় দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা। বিগত ১৬ বছরে একক আধিপত্য বজায় রেখে ক্রমান্বয়ে দুর্নীতি করে চলেছেন এসব কর্মকর্তারা। ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থীরা ন্যায় বিচারের স্বার্থে এসব কর্মকর্তাদের অতি দ্রুত অপসারণ চান। তারা অন্তবর্তী সরকারের কাছে এসব কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করছেন। ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তথ্যঅনুসন্ধানে যেসব কর্মকর্তাদের নাম জানা গেছে তাদের মধ্য রয়েছেন

 

মোঃ সাইফুর রহমান রেজিস্ট্রার, আপীল বিভাগ। তিনি ২০১৭ সাল হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্পেশাল অফিসার হিসাবে হাইকোর্ট বিভাগে চাকরি করেন৷ এরপর হতে অদ্যবধি ৭ বছর রেজিস্ট্রার আপিল বিভাগে কর্মরত। তিনি ইতোপূর্বে আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে ঢাকাতে স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পদে চাকরি করেন। সদ্য ওএসডি সিএএম বিকাশ কুমার সাহার দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন ভুমিকা রেখেছেন। কোটা বিরোধী আন্দোলনে হাইকোর্টের বাইরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।  স্পেশাল অফিসার থাকাকালীন কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ক্রয়ে দুর্নীতি, প্রোগ্রাম আয়োজন করার ক্ষেত্রে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট হতে লভ্যাংশ গ্রহণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন সংস্কার করার নামে ১৮ কোটি টাকা খরচ দেখানোর নাম করে দুর্নীতি, প্রধান বিচারপতির এজলাস সংস্কারের নামে গণপূর্ত  বিভাগের সাথে যোগসাজসে লভ্যাংশ গ্রহণ করেন। তিনি সিনিয়র অফিসারদের তোয়াক্কা না করে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ করেন। পারিবারিক ভাবে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় এ কর্মকর্তার সঙ্গে আ.লীগের নেতা, সরকারি আমলার সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। তাকে অপসারণ করা না হলে সুপ্রীম কোর্টের গোপনীয় তথ্য ফাস হয়ে যাবার আশংকা করছেন ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থীরা।

 

আজিজ আহমেদ ভূইয়া, রেজিস্ট্রার জেনারেল সুপ্রীম কোর্ট।  চট্টগ্রামের জজ থাকা অবস্থায় আওয়ামী সরকারের পক্ষে সরাসরি কাজ করেছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিপ্লব বড়ুয়া, আনিসুল হকের পক্ষে সরাসরি কাজ করেন। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সুপারিশক্রমে রেজিস্টার জেনারেল পদে পদায়ন লাভ করে অদ্যাবধি আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে কাজ করছেন।

 

মুন্সী মশিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার হাইকোর্ট বিভাগ। আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট ও সরকারের সরাসরি সুবিধাভোগী। হাইকোর্টের সীমানার বাইরে বিক্ষোভকারী ছাত্র জনতার উপর হামলার নির্দেশদাতা। সুপ্রীম কোর্টে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে গণপূর্ত বিভাগের সাথে যোগসাজসে বড় অংকের খরচ দেখিয়ে লভ্যাংশ গ্রহণ করেন। স্টাফ নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে দুর্নীতির সাথে জড়িত।

 

এসকে তোফায়েল হাসান, রেজিস্টার হাইকোর্ট বিভাগ।  আওয়ামী সরকারেরে বিশ্বস্ত ও সুবিধাভোগী। আওয়ামী সরকারের আমলে ঢাকায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভিন্ন পদে চাকরি করেন। হাসান মোঃ আরিফুর রহমান।  প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব বর্তমানে রিসার্চ অফিসার আপীল বিভাগ। সাবেক প্রধান বিচারপতি খাইরুল হকের পিএস ও তার সুপারিশে হাইকোর্টে পোস্টিংপ্রাপ্ত। তিনি সরকারের সরাসরি সুবিধাভোগী। ১০ বছরের অধিক সময় ধরে ঢাকায় চাকরি করেন৷ তিনি আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমানের দুস্কর্মের সহযোগী। আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকী, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার হাইকোর্ট বিভাগ। আওয়ামী সরকারের আস্থাভাজন। কক্সবাজারের সাবেক সিজেএম আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমানের দুস্কর্মের সহযোগী।মিজানুর রহমান,ডেপুটি রেজিস্ট্রার হাইকোর্ট বিভাগ।  আট বছরের অধিক সময় ধরে ঢাকায় চাকরি করেন। আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমানের দুস্কর্মের সহযোগী।

শেখ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার আপিল বিভাগ।  আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমানের দুস্কর্মের সহযোগী। কোটা আন্দোলনে নিহতদের বিষয়ে গঠিত লোক দেখানো তদন্ত কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা।

মোয়াজ্জেম হোসেন, সোশ্যাল অফিসার হাইকোর্ট বিভাগ।  আওয়ামী সরকারের আস্থাভাজন। ইতোপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এটুআই প্রজেক্টে কাজ করেছেন। তাঁর  স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসাবে কর্মরত।

মোশারফ হোসেন, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার হাইকোর্ট বিভাগ। আওয়ামী সরকারের আস্থাভাজন সুবিধাভোগী। ঢাকায় নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন পদে ১০ বছরের মত চাকরি করেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামালের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে চাকরি করছেন।

কাজী আরাফাত উদ্দিন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার হাইকোর্ট বিভাগ। প্রায় আট বছরের বেশি সময় ধরে ঢাকায় চাকরিরত। আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমানের দুস্কর্মের সহযোগী। আওয়ামী সরকারের বিশ্বস্ত ও সরাসরি সুবিধাভোগী। শামীম সুফী,ডেপুটি রেজিস্ট্রার হাইকোর্ট বিভাগ। দশ বছরের অধিক সময় ধরে ঢাকায় চাকরিরত। আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট বিশ্বস্ত ও সহযোগী। তার স্ত্রী তাহেরা আনোয়ার আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। মিল্লাত হোসেন, রিসার্চ অফিসার আপিল বিভাগ। আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমানের দুস্কর্মের সহযোগী। ঢাকায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনাকালীন মাস্ক কেলেংকারী মামলায় আওয়ামী সরকারের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে প্রভাবিত করে জামিন মঞ্জুর করেন। তিনি অনেক মামলায় আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত।

আবু আমর, ডেপুটি রেজিস্ট্রার আপীল বিভাগ। আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমানের দুস্কর্মের সহযোগী। বিচারপতি খাইরুল হকের অধীনে আইন কমিশনে চাকরি করেছেন। আওয়ামী সরকারের বিশ্বস্ত ও সুবিধাভোগী।

আকরামুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার হাইকোর্ট বিভাগ। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মশিয়ার রহমানের দুস্কর্মের সহযোগী। সরকারের সরাসরি সুবিধাভোগী।

 

নাইম ফিরোজ, রিসার্চ অফিসার আপীল বিভাগ।  আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমানের দুস্কর্মের সহযোগী।আওয়ামী সরকারের বিশ্বস্ত ও সুবিধাভোগী। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সুপারিশে ঢাকায় পদায়ন লাভ করেন। পিএটিসিতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ চলাকালীন নারী কেলেংকারির কারণে বহিস্কৃত হন। আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে তৎকালীন আইন সচিব জহিরুল হক দুলালকে প্রভাবিত করে ধামাচাপা দেয়া হয়।খালিদ হাসান, রিসার্চ অফিসার আপীল বিভাগ।আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমানের দুস্কর্মের সহযোগী।  আওয়ামী সরকারের বিশ্বস্ত ও সুবিধাভোগী। নওরীন আক্তার কাকন, রিসার্চ অফিসার আপীল বিভাগ।  রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমানের দুস্কর্মের সহযোগী। আওয়ামী সরকারের বিশ্বস্ত ও সুবিধাভোগী। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সুপারিশে ঢাকায় পদায়ন লাভ করেন। অভিযুক্ত এসব কর্মকর্তাদের কাছে আনীত অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো পড়ুন
error: Content is protected !!