তৌহিদ হোসেন উজ্জ্বল , বাউফল
পটুয়াখালীর বাউফল উপজলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক ফেরদাউসি শিরিন এর পদত্যাগর দাবিত ক্লাশ বর্জন করে মানববন্ধন ও বিক্ষাভ কর্মসূচী পালন করেছেন ওই বিদ্যালয়র শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল ১০ টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কয়েকশত শিক্ষার্থী এ কর্মসূচী পালন করেন। পরে একটি বিক্ষাভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কালাইয়া বন্দর ঘুরে হায়াতুনছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পৌছালে বিক্ষাভকারী শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহন করেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। এ সময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক ফেরদাউসি শিরিনের বিরুদ্ধ আর্থিক দূর্নীতি,অনতিক কর্মকান্ড,অতিরিক্ত ফি ধার্য, ছাত্র হত্যাসহ নানা ধরনর অপরাধের অভিযাগ তুলে ‘দফা এক দাবি এক,প্রধান শিক্ষকর পদত্যাগ’,‘আমার ভাই মরল কেন, প্রধান শিক্ষক জাবাব চাই’ বলে শ্লোগান দিতে থাকেন।
উল্লখ্য, গত বছরর ১২ ম কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়র একাডমিক ভবনের ছাদ অবৌধ ডিস এট্রনার কেবল ঝড়ে বিছিন্ন হয় যায়। ওই কেবল সংযোগ দেওয়ার সময় বিদ্যুতের ছেড়া তাড়ে জড়িয়ে বেল্লাল হাসান নামে দশম শ্রেনির এক ছাত্র নিহত হয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধ অবহলার অভিযোগ তুলেন শিক্ষার্থীরা ও নিহতর বাবা তাজ উদ্দিন।
ওই বিদ্যালয়র দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী সোহান বলেন, আমরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিত মানববন্ধন ও বিক্ষাভ কর্মসূচী পালন করেত ছিলাম। বেলা ১টার দিকে সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম স্যারের আশ্বাসে কর্মসুচী স্থাগিত করি। আমাদের দাবি না মানলে পরবর্তীত আরা কঠোর কমসুচী পালন করা হবে।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ছাত্রদের আন্দোলন সম্পর্ক আমার কিছু জানা নাই। আজ প্রধান শিক্ষক বিদ্যালেয় আসেন নাই। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মহাদয়ের সঙ্গে আলাচনা করে এ বিষয়ে কী করা যায় তা শিক্ষার্থীদের জানানা হবে বলে আমি শিক্ষার্থীদেরকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদাউসি শিরিনকে মুঠা ফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের পরিচয় জেনে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ন ফোন এসেছে বলে সংযাগ বিছিন্ন করে দেন।
উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাজমুল হক বলন, এ বিষয় আমাকে কেউ অবহিত করেন নাই। অভিযাগ পেল তদন্ত করে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হব।#
Related