মোঃ ছালাউদ্দিন, মনপুরা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে হত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তীব্র গনআন্দোলনে দেশে ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তিনি (ফ্যাসিস্ট হাসিনা) এই নিয়ে তিনাবর পালিয়ে গেছে। এর আগে ১৯৮১ সালে ৩০ মে আখাউড়া দিয়ে বোরখা পড়ে পালিয়ে যায়। আর ১/১১ এর সময় ফখরুদ্দিন, মইনুদ্দিনের ধমক খেয়ে পালিয়ে যান। পক্ষান্তরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পালিয়ে যাননি। তিনি কোন কিছুর কাছে মাথানত করেনি। বিএনপি এদেশের মাটি ও মানুষের দল।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে উপজেলার হাজীরহাট বাজারে মনপুরা উপজেলা বিএনপির আয়োজিত গণমিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন ভোলা-৪ (চরফ্যাসন-মনপুরা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন আলম।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভয় পেত। তাই একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে আসতে দেয়নি। তাই তিনি অন্তবর্তী সরকারের কাছে দ্রæত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবী করেন।
এছাড়াও অন্তবর্তীকালীন সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল উল্লেখ করে তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের পাচার হওয়া সকল টাকা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার দাবী করেন।
সাবেক সংসদ সদস্য আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজীয় করতে সকলের সহযোগিতা চান।
সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শামসুদ্দিন বাচ্চু চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মফিজুল ইসলাম মিলন মাতাব্বর এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি শামসুন্নাহার মিনু চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম শাহীন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জোবায়ের হাসান রাজিব চৌধুরী।
এই সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবদলের নেতা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল-আমিন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সম্পাদক নুর আলম, উপজেলা যুবদলের নেতা মোঃ হেলাল, মোঃ জিয়া, মোঃ খোকন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবদুর রহমান, কৃষকদলের সভাপতি মোঃ ছালাউদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।