জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষে ভাই-বোনসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ছোট আউলিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আনোয়ার চৌকিদার (৫০), হারুন চৌকিদার(৪০), পিয়ারা বেগম(৬০), হনুফা বেগম(৩০), পিয়ারা বেগম( ৩০) ও মোঃ আল-আমিন চৌকিদার (২০)। এরা সবাই একই পরিবারের লোক। অপর আহত তিনজনের নাম জানা যায়নি। তবে তারা সবাই পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত আনোয়ার চৌকিদার বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে প্রতিপক্ষের বাড়ির পাসের রাস্তা দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার উপরে হামলা চালায় জলিল চৌকিদার(৫০), মনা চৌকিদার(৫৫), শাহীন চৌকিদার (২৫),মহিউদ্দিন চৌকিদারসহ ৮/১০ জন লোক। তাদের মারধরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে আমার ছোট ভাই হারুন প্রতিপক্ষের বাড়িতে যায় আমাকে মারধরের বিষয়টি জানার জন্য। এসময় হারুনের উপরে হামলা চালায় এবং কুপিয়ে আহত করা হয়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আমার ছোট বোনসহ আরো চারজন হামলার শিকার হয়েছে। জমি সংক্রান্ত ও নির্বাচনী পূর্ব বিরোধের কারনে এঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্ত জলিল চৌকিদার ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, একই রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। তবে ওই রাস্তায় আনোয়ার চৌকিদার গং মাটি দিয়ে অটোরিকশা আনা-নেওয়া করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে ওই রাস্তা দিয়ে আমার চাচা ধান মাড়াইয়ের মেশিন নিতে চাইলে তারা বাধা দেয় এবং তাকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকালে মারামারি হয়েছে।
আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক চৌকিদার বলেন, মারামারির বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষের কাছে স্টাম্প চেয়েছিলাম। তবে একপক্ষ থানায় অভিযোগ করেছেন। পরে অপর পক্ষকেও থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে।